ঝড়ের কবলে পড়ে শতাধিক ক্রু নিয়ে সমুদ্রে থাইল্যান্ডের নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ ডুবে গেছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন ৩১ জন নাবিক। থাইল্যান্ডের নৌবাহিনীর বরাত দিয়ে সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডুবে যাওয়া থাই যুদ্ধজাহাজের নাম এইচটিএমএস সুখোতাই। রোববার রাতে ঝড়ের মধ্যে জাহাজটির বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা প্লাবিত হওয়ার পর এটি ডুবে যায়। সোমবার থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাহাজডুবির পর তারা ৭৫ জন ক্রুকে উদ্ধার করেছে কিন্তু ৩১ জন এখনও উত্তাল সমুদ্রে নিখোঁজ রয়েছেন।

থাইল্যান্ডের নৌবাহিনীর একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, ‘জাহাজডুবির পর ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় হয়ে গেছে কিন্তু নিখোঁজদের উদ্ধারে আমরা তল্লাশি চালাতে থাকব।’ নৌ মুখপাত্র অ্যাডমিরাল পোগক্রং মনথার্দপলিন বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমাদের বাহিনীর ইতিহাসে এটি প্রায় কখনও ঘটেনি, বিশেষ করে এমন একটি জাহাজের ক্ষেত্রে যা এখনও সক্রিয় রয়েছে।’

জাহাজটিতে পানি ভরে যাওয়ার পর এর সামনের অংশ প্লাবিত হয় এবং পরে জাহাজের পাওয়ার রুমে শর্ট সার্কিট সৃষ্টি করে। জাহাজটি প্রচুয়াপ খিরি খান প্রদেশের ব্যাং সাফান থেকে মাত্র ৩২ কিলোমিটার (২০ মাইল) পশ্চিমে টহলরত অবস্থায় ছিল। পরে রোববার রাতে জাহাজটি ঝড়ের কবলে পড়ে।

আরোও পড়ুন: 

রাষ্ট্র সংস্কার রূপরেখায় খালেদা জিয়ার ভিশন

শিশু অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩

মহাকাশে ‘গোয়েন্দা স্যাটেলাইট’ বসালো উত্তর কোরিয়া!

বিবিসি নিউজ
কর্মকর্তারা বলেছেন, জাহাজটিতে পানি ভরে যাওয়ার পর এর সামনের অংশ প্লাবিত হয় এবং পরে জাহাজের পাওয়ার রুমে শর্ট সার্কিট সৃষ্টি করে। জাহাজটি প্রচুয়াপ খিরি খান প্রদেশের ব্যাং সাফান থেকে মাত্র ৩২ কিলোমিটার (২০ মাইল) পশ্চিমে টহলরত অবস্থায় ছিল। পরে রোববার রাতে জাহাজটি ঝড়ের কবলে পড়ে। এদিকে ঘটনাস্থলে সাহায্য করার জন্য তিনটি নৌ জাহাজ এবং হেলিকপ্টার পাঠানো হলেও এইচটিএমএস সুখোতাই ডুবে যাওয়ার আগে শুধুমাত্র এইচটিএমএস ক্রাবুরি নামের একটি জাহাজ সেখানে পৌঁছাতে সক্ষম হয়।